Spread the love

আপনি যদি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার দিকে একটু গভীরভাবে বিশ্লেষন করে দেখেন। তাহলে দেখবেন অনেক পরীক্ষাতেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষায়ও পাশ করার প্রয়োজন পরে। তাছাড়া অনেক পরীক্ষায় শুধু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তারপর প্রাকলিকাল কিংবা ভাইবাতে আপনাকে ডাকবে। তাই এই পরীক্ষায় কিভাবে ভাল করবেন সেটি নিয়েই আমাদের আজকে আলোচনা।

আসল কথায় আসা যাক, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করলে যে আপনার চাকরি হবে এটা নিশ্চিত বলা যায় না। তবে এই পরীক্ষায় যদি আপনি ভাল করে থাকেন তাহলে আপনি অন্যান্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। যা আপনাকে আপনার কাক্ষিৎ চাকরি পেতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে আমি বেশ কয়েকটি লিখিত পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি এবং সফলতার সাথে কৃতকার্য হয়েছি। পাশাপাশি কয়েকজন সফল ব্যক্তিদের পরামর্শ তুলে ধরছি যা অনুসরন করার মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আপনিও লিখিত পরীক্ষায় ভাল করতে পারবেন।

লিখিত পরীক্ষার সহায়ক বইসমূহ

বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারন বিষয়াবলিতে আপনার প্রস্তুতি থাকতে হবে। তবে যে কোন একটি ভাল করে পড়লেই হবে। তবে নির্ভুল সমাধান পেতে অবশ্যই আপনাকে বেসিক ও বোর্ড বই পড়তে হবে।

১। বাংলায় ভাল করার জন্য:

আমি যেকোন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে নবম -দশম শ্রেনীর ব্যাকরণ বইয়ের বাগধারা, এক কথায় প্রকাশ, সন্ধি, সমাস, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ ও কারক অংশ প্রায়শই দেখতাম।

২। ইংরেজিতে ভাল করার জন্য:

ইংরেজির জন্য মার্স্টার বইটি পড়তাম এবং এ অংশে Voice Change, Narration, Translation, Word অংশের উপর বেশি জোড় দিতাম। পাশাপাশি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতাম।

৩। গণিতে ভাল করার জন্য:

আমি প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় ম্যাথ করতাম। পাশাপাশি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা ম্যাথগুলো প্রাকটিস বেশি করতাম। পাশাপাশি ম্যাথের টিউশনি করাতাম। তাই প্রায়ই এই অংশে কোন প্রশ্ন আনকমন ছিল না।

৪। সাধারন জ্ঞানে ভাল করার জন্য:

বিগত বছরের বিসিএসে আসা বিভিন্ন প্রশ্ন আগেই নোট করে রাখতাম। পাশাপাশি দৈনিনক পেপার পরতাম।

নিয়োগ পরীক্ষায় কিভাবে লিখতে হয়

সবাই পরীক্ষা দেয় কিন্তু যারা ভাল করে তাদের অবশ্যই উইনিকনেস থাকে। তাই আপনাকে বলব খাতাটাকে অবশ্যই প্রথমে মার্জিন করে নিবেন। খাতার মধ্যে প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে অবশ্যই শুরু থেকে শেষের দিকে আসবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি একটা পরীক্ষায় শেষ থেকে শুরু এভাবে দিয়েছিলাম এবং পরীক্ষাটার ৯৭-৯৯% কমন ছিল পাশাপাশি উত্তরও ভাল করেই লিখেছিলাম কিন্তু পরীক্ষাটিতে পাশ করিনি। তাই আপনাকে বলব। শুরু থেকে এক এক করে উত্তর দিবেন। তবে কোন প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে স্কিপ করতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন।

মনে রাখবেন খাতার প্রেজেনটেশনটা যত সুন্দর হবে মার্ক পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। তাই যথাসম্ভব কাটাকাটি যেন না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন। আর ভুল হলে একটানে কেটে দিয়ে অন্য পেজে চলে যাবেন।

টাইমিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় দেখা যায় কোন একটি অনুচ্ছেদ লেখার জন্য ১৫-২০ মিনিট চলে যায়। আবার ম্যাথ করার মত টাইমও অনেকে পায় না। তাই আগে থেকেই আপনাকে সময়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে। প্রতিটি সেকশনে টাইম বরাদ্ধ করে সেই সময়ের মধ্যে লিখবেন।

সাম্প্রতিক বিষয়ের প্রতি নজর দিন। সমসাময়িক আলোচিত ইস্যু ভাল করে পড়ুন।

শেষকথা:

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে আপনার চাকরি পাওয়ার সুযোগটা বেড়ে যাবে। তাই এই অংশে ভাল করতে অবশ্যই টেকনিকগুলো অবলম্বন করুন। আপনার জন্য শুভ কামনা।

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *